ঢাকা,রোববার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

বনবিভাগের কর্মকর্তারাই উজাড় করছেন বনভূমি

পেকুয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি ::  কক্সবাজারের পেকুয়ায় পাহাড়ের প্রাকৃতিক পরিবেশ বিপন্ন হওয়া ঠেকানো যাচ্ছে না। পাহাড়ের ভেতর গড়ে উঠছে শত শত পাকা স্থাপনা। নির্বিচারে পাহাড় এবং গাছপালা কাটার কারণে পাহাড়ের প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। পাহাড় দখল, অপরিকল্পিত বসতি স্থাপন এবং অবৈধ পাকা দালান নির্মাণের ফলে পাহাড় ধসে প্রাণহানির সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছে। শুধু তাই নয়, গভীর অরণ্য কেটে ফেলার ফলে বন্যহাতি লোকালয়ে এসে পড়ছে।

জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা বর্তমানে দুঃসাধ্য হয়ে পড়ছে। এ নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই টইটং- বনবিভাগের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের।

সরজমিন ঘুরে জানা যায়, বনবিভাগের কর্মকর্তাদের যোগসাজশে হ্যাডম্যান নামধারী দালালপ্রকৃতির লোকের মাধ্যমে বনবিভাগের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই প্রতিনিয়ত বন থেকে গাছ কাটছে আর অবৈধ বিলাসবহুল পাকা বাড়ি নির্মাণ করে চলছে এক শ্রেণির মানুষ।

যার ফলে নিধন হচ্ছে গাছপালা, উজাড় হচ্ছে সংরক্ষিত বনাঞ্চল। অভিযোগ করা হলে বা উপর মহলের চাপ আসলে বরাবরের মতো লোক দেখানো অভিযান করে পরবর্তীতে টাকা নিয়ে সেই ঘর নির্মাণের ব্যবস্থা করে দেয় খোদ বনবিভাগের কর্মকর্তারা। বারবাকিয়া রেঞ্জের অধীনে টইটং বনবিটে এমন একটা অভিযান পরিচালনা করা হয় গত ২৬শে ফেব্রুয়ারি। ৭টি অবৈধ পাকা স্থাপনায় এ অভিযানের ঠিক দু’দিন পরেই তারা কীভাবে পুনরায় দালানঘর নির্মাণের কাজ করতে পারে? বনবিভাগের এহেন ভূমিকায় এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে স্থানীয় পরিবেশবাদী সচেতন মহলের কাছে।

বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, টৈটং বিট কর্মকর্তা সাহাদাত হোছাইন, ও অফিসের দালাল মনঞ্জুর, অলি আহমদ, হারবাংয়ের শাহাজাহান (এসিএফের অফিসের দালাল)-এর নেতৃত্বে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের সহকারী বনসংরক্ষক একেএম আজহারুল ইসলামকে মোটা অঙ্কের টাকার মাধ্যমে ম্যানেজ করে ওই ঘর পুনরায় নির্মাণ করতেছে। টাকা নিয়ে আজহারুল ইসলাম তাদেরকে ঘর নির্মাণের জন্য ৪ দিন সময় বেঁধে দেয়। বলে আমি ৪ দিন ঢাকা থাকবো, সেসময় আপনারা কাজ করে নিবেন।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের সহকারী বনসংরক্ষক একেএম আজহারুল ইসলাম বলেন, আমি ঢাকায়। আমার কাজ রিপোর্ট করা। আমি তা করেছি। টাকা নিয়ে ঘর নির্মাণের অনুমতির ব্যাপারে জানতে চাইলে বলেন, আমি টাকা নেয়নি এগুলো মিথ্যা কথা।

পাঠকের মতামত: